গল্পের বই গল্প গল্প গল্প কার্টুন গল্পগুলো অন্যরকম pdf গল্প পোকা গল্পের লিংক গল্প হলেও সত্যি গল্পগুচ্ছ pdf গল্প বই গল্প লেখার নিয়ম গল্প কথা গল্প বলি গল্প অভিযোগ গল্প অর্থ গল্প অর্থ কি গল্প অবহেলা গল্প অভিযোগ পার্ট ৩ গল্প অবশেষে তুমি আমার গল্প অভিযোগ পার্ট ৪ গল্প অভিযোগ পার্ট ৮ অ এর গল্প অ এর গল্প mp3 অ এর গল্প song download গল্প আর উপন্যাসের মধ্যে পার্থক্য গল্প আলো লেখক আয়sha গল্প আড্ডা গল্প আলিবাবা চল্লিশ চোর গল্প আছে গল্প ইসলামিক গল্প ইউটিউব গল্প ইউটিউব ভিডিও গল্প ইসলামীক গল্প ইউটিউবে ইসলামিক গল্প ইসলামিক গল্প ও কাহিনী ইসলামী গল্প ডাবলু ডাবলু ই গল্প গল্প ঈশপের গল্প ঈশপের গল্প pdf ঈশপের গল্প বই pdf ঈশপের গল্প গুচ্ছ ঈশপের গল্প pdf download ঈশপের গল্প সমগ্র ঈশপের গল্প সমগ্র pdf ঈশপের গল্প বই গল্প উইকিপিডিয়া গল্প উপন্যাস প্রভৃতি অর্থ গল্প উপন্যাস গল্প উপন্যাসের গল্প উপন্যাসে গল্প উপদেশ গল্প-উপন্যাস হল অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র। গল্প উদাহরন ঋণ গল্প গল্প এর সমার্থক শব্দ গল্প এবং উপন্যাসের পার্থক্য গল্প এর প্রতিশব্দ গল্প এখন গল্প এই ঐতিহাসিক গল্প ঐতিহাসিক গল্প pdf ঐক্যের গল্প ঐশ্বরিক গল্প ঐন্দ্রজালিক গল্প শরদিন্দুর ঐতিহাসিক গল্প বাংলা ঐতিহাসিক গল্প ইসলামিক ঐতিহাসিক গল্প ঐ একটা পরীর গল্প লেখা অল্প অল্প ঐ একটা পরীর গল্প গান গল্প ও উপন্যাসের পার্থক্য গল্প ও কবিতা গল্প ও ছোটগল্পের মধ্যে পার্থক্য গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে পার্থক্য গল্প ও কার্টুন গল্প ও উপন্যাস ও গল্পের ও গল্প কার্টুন গল্পে ও কবিতায় preposition গল্প ও প্রবন্ধের পার্থক্য গল্প ও প্রবন্ধের মধ্যে পার্থক্য কি গল্পে ও কবিতায় preposition pdf গল্প কবিতা গল্প কাকে বলে গল্প কবিতা লিখে আয় গল্প কি গল্প কী গল্প করার এইতো দিন ka গল্প ক এর গল্প ক ক টিভি গল্প গল্প খারাপ গল্প খুব গল্প খবর গল্প খুকু টিভি খারাপ গল্প pdf খোয়ারি গল্প খোয়ারি গল্প pdf খাগড়াছড়ি গল্প গল্প গুলো অন্যরকম pdf গল্প গুচ্ছ pdf গল্প গুলো অন্যরকম গল্প গুলো সব গল্প গুলো আমাদের নাটক গল্প গুচ্ছ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গল্প গল্প কার্টুন গ ভুতের গল্প গ তে গল্পকার গল্প গুলো জ্ঞানের গল্প golpo ng lingayen anong rehiyon golpo ng lingayen region golpo ng lingayen tagalog golpo ng davao golpo ng albay golpo ng lingayen sa pangasinan golpo ng moro sa pilipinas গল্প চুক্তির বিয়ে গল্প ছবি গল্প ছন্দ গল্প ছড়া গল্প জীবনের গল্প জ্বীন গল্প জ্বীন পর্ব ২ j golpo গল্প ঝুড়ি গল্পের ঝুড়ি গল্পের ঝুলি ঝগড়ার গল্প ঝড়ের গল্প ঝিনুকের গল্প ঝগড়া গল্প ঝুলির গল্প কার্টুন গল্প বাংলা ছোট গল্প d গল্প গল্প ডাউনলোড গল্প ডাইনির গল্প গল্প ডিজে গল্প ডাইনি বুড়ি গল্প ডিজে গান গল্প ডিজে সং গল্প ডাউনলোড করব গল্প ডাইনির ধাঁধা dr গল্প গল্প ঢাকা জীবন গল্প ঢাকা এফ এম গল্প কমিউনিকেশন ঢাকা জীবন গল্প ঢাকা এফ এম 90.4 হাঙ্গার গল্প ঢাকা জীবনের গল্প ঢাকা এফ এম জীবন গল্প ঢাকা fm ভূতের গল্প ঢাকা no গল্প গল্প তোর কারনে গল্প তিন গোয়েন্দা গল্প তো গল্প তৈরি গল্প তোর কারণে গল্প তরু গল্প তবুও তুমি গল্প ত্যাগ t গল্প গল্প থেকে শিক্ষা গল্প থেকে জ্ঞান গল্প থেকে গল্প থাকে গল্প থেকে নাটক গল্প থেকে নাট্যরূপ গল্প থেকে গান গল্প থেকে প্রশ্ন গল্প দ্বিতীয় বিয়ে গল্প দিজিয়ে গল্প ধাঁধা গল্প ধাধা গল্প ধোয়ার নেশা গল্প ধাঁধাঁ গল্প ধোকা গল্প ধাঁধার উত্তর গল্পের ধাঁধা ধৈর্যের গল্প গল্প নিয়ে উক্তি গল্প নিয়ে কবিতা গল্প নীল রক্ত গল্প নারী গল্প নিয়তি গল্প নেতার মেয়ে পর্ব ৩ গল্প নয় সত্য ঘটনা গল্প নিশির ডাক ন হন্যতে গল্প গল্প প্রেমের গল্প পড়ি জীবন গড়ি গল্প পিক গল্প পোকা ডুমুরের ফুল গল্প পিডিএফ গল্প পড়ি জীবন গড়ি pdf গল্প প্রতিশব্দ পাতার গল্প পাতার গল্প কার্টুন পা গল্প p গল্প গল্প প গল্প ফানি গল্প ফুলশয্যা গল্প ফেসবুক গল্প ফুল মুভি গল্প ফুল ভিডিও গল্প ফেরিওয়ালা গল্প ফেয়ারি টেল গল্প ফেয়ারি টেলস গল্প বলার কৌশল গল্প বিশ্বাস গল্প বলি রোমান্টিক গল্প বাংলা কার্টুন গল্প ব্লগ b গল্প পোস্টমাস্টার গল্পের ব ্যাখ ্যা ব অন্য প্রেমের গল্প ব অন্য প্রেমের গল্প মুভি ব অন্য প্রেমের গল্প ফুল মুভি ব অন্য প্রেমের গল্প full movie ব অন্য প্রেমের গল্প ছবি গল্প ভালোবাসার গল্প ভালবাসার গল্প ভালবাসা গল্প ভাইয়ের বন্ধু যখন বর গল্প ভূতের গল্প কার্টুন ভালোবাসার গল্প বাংলা ভালোবাসার সংক্ষিপ্ত গল্প গল্প মিথ্যা অভিযোগ গল্প মিথ্যা অভিযোগ ২ গল্প মিথ্যে অভিযোগ গল্প মন্ত্রীর ছেলে পর্ব ২ গল্প মিথ্যা অভিযোগ 2 গল্প মোনালিসা গল্প মানে কি গল্প মিথ্যা অপবাদে অপরাধী গল্প যদি শুনতে চাও আমার কাছে এসো গল্প যে গল্প যা যমরাজের গল্প যিশুখ্রিস্টের গল্প যার গল্প যে গল্প হয় না লেখা dj গল্প গল্প রোমান্টিক গল্প রূপকথার গল্প গল্প রোমান্টিক বউ গল্প রাজা রানীর গল্প গল্প রাতের গল্প রাজা গল্প রোমান্টিক অত্যাচার গল্প রহস্য গল্প লেখার টপিক গল্প লিখে টাকা আয় গল্প লিংক গল্প লেখার আইডিয়া গল্প লেখার ব্লগ গল্প লেখা কি হারাম গল্প লিখন গল্প ল ভূতের গল্প ল শিয়ালের গল্প ল গল্প শেষে লিরিক্স গল্প শোনাও গল্প শব্দের অর্থ গল্প শুনবো গল্প শিক্ষনীয় গল্প শেষ সময়ে গল্প শব্দের প্রতিশব্দ গল্প শিয়ালের গল্প শহীদ গল্প ষাঁড়ের গল্প মা ষষ্ঠীর গল্প শুনবো s গল্প গল্প সমগ্র pdf গল্প সমগ্র হুমায়ূন আহমেদ গল্প সমার্থক শব্দ গল্প স্পর্শ গল্প সে গল্প সাহিত্য গল্প সমগ্র জহির রায়হান pdf গল্প সেই তুমি সে গল্পে ভালোবাসা নেই সীমা গল্প সে গল্পের বই গল্প হলেও সত্যি full movie গল্প হলেও সত্যি মুভি গল্প হলেও সত্যি সিনেমা গল্প হলেও সত্য গল্প হাসির গল্প হলেও সত্যি full movie download গল্প হুমায়ূন আহমেদ r গল্প গল্প লেখা গল্প 101 golpo 101 pdf golpo 101 golpo 101 pdf free download golpo 101 pdf download golpo 101 buy online 1000 গল্প 16 গল্প গল্প 2020 গল্প 2019 গল্প 2018 গল্প 2017 গল্প 2019 সালের গল্প 2000 গল্প 2015 golpo 2020 গল্প 2 2 লাইনের গল্প 2 বইয়ের গল্প 2 বইয়ের গল্প দাও 2 মিনিটের গল্প রাজকুমারী গল্প 2 রূপকথার গল্প 2 মিথ্যা অভিযোগ 2 গল্প গল্প 3 3 বইয়ের গল্প রাজকুমারী গল্প 3 ভূতের গল্প 3 রূপকথার গল্প 3 3 পন্ডিত যুবক গল্প 3 টি ভূতের গল্প 4k golpo ভূতের গল্প 4 40000 golpo 4 ভাঁড়ের গল্প 4 টি ভূতের গল্প 4 লাখ মাছের গল্প 4 জন বন্ধুর গল্প 50000 golpo 5 মটরশুঁটির গল্প 5 মিনিটের গল্প 5 টাকার গল্প 5 টি ভূতের গল্প 6 রাজকন্যার গল্প 6 টি ভূতের গল্প 70000 golpo 7 টি ভূতের গল্প 8000 golpo 8 কুড়া রাজার গল্প জীবন গল্প 90.4 জীবন গল্প 90.4 mp3 জীবনের গল্প 90.4 জীবন গল্প 90.4 live



গল্প:রহস্যের সন্ধানে
ক্যাটাগরি:ভৌতিক
লেখক:আশিকুর রহমান

শবে মাত্র  এসএসসি পাশ করেছি ।কলেজের নতুন জীবন। দিনকাল ভালোই কাটছিলো। এদিকে নতুন কলেজে নতুন কিছু বন্ধুও পেয়েছি। বন্ধুদের নাম না বললেই নয়! সোহান,রাকিব,ফয়সাল। মোটামুটি এই 3 জনের সাথে ভালোই বন্ধুত্ব। একদিন কলেজের  অফ পিরিয়ডে,

" কীরে?আশিক! দিনকাল কেমন চলে?" হাসিমুখে আমাকে প্রশ্নটি করলো ফয়সাল ।
"এইতো আছি কোনোমতে। তোর খবর কী?
"এইতো দোস্ত আছি কোনোমতো। পড়াশোনা কেমন যেনো বোরিং লাগতেছে। মন চায় কোথাও ঘুরে আসি।"

কথাটা বলতে না বলতেই সোহান আর রাকিব এসে হাজির।

"কীরে? কী নিয়ে কথা হচ্ছে? আমরাও শুনি" হাসতে হাসতে কথাটি বলল সোহান।

"দোস্ত! সামনে তো গ্রীষ্মের ছুটিতে  কলেজ বন্ধ। ভাবতেছি কোথাও ঘুরতে যাবো।"(ফয়সাল)

"তা কোথায় যাবি? ঠিক করেছিস?"(সোহান)

"নারে ভাই। এখনো সিধান্তহীনতায় ভুগছি।"(ফয়সাল)

"আচ্ছা! দোস্ত আমার গ্রামে গেলে কেমন হয়? ওখানে একটা রাজ বাড়িও আছে। শুনেছি অভিশপ্ত বাড়িটা। কোনো অশরীরী টাইপের কিছু আছে ।" সোহানের পেছনে দাড়িয়ে কথাটি বলল রাকিব।

"কী বলিস? এসব আদৌও হয়?"(ফয়সাল)

আমি চিন্তাবিগ্নিত সুরে বললাম," হয় দোস্ত ।রাকিব ঠিক বলছে।"

"তুইও আশিক কী শুরু করলি রাকিবের মতো। রাকিব ভিতু আগে থেকে জানতাম তাই বলে তুইও?" হাসতে হাসতে কথাটি বলল ফয়সাল।

আমি একটু কিচিৎ ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকালাম। অতপর, সোহান বলতে লাগল। " তাহলে চল আমরা রাকিবের গ্রামে যাই। দেখে আসি সেই অভিশপ্ত বাড়ি । হা হা হা"

প্রথমে আমি রাজি না হলেও সকলের জোড়াজুরিতে আমরা সকলেই রাজি হয়ে যাই।

সবাই সিধান্ত নিলাম মার্চের 20 তারিখ রওনা হবো। রাকিবের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের এক পাহাড়ি এলাকায় সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যোগাযোগ ব্যাবস্থা ওতো উন্নত না। তাই সবাই প্রয়োজন মতো সকল জিনিসপত্তর নিয়ে নিলো । সময় করে সবাই যশোর থেকে রওনা হলাম। রওনা দিয়েছিলাম 19 তারিখ সন্ধ্যা 7 টার গাড়িতে আর পৌছুলাম 20 তারিখ সকাল 10 টায় । বাস থেকে নেমে একটি লোকাল বাসে করে 1 ঘন্টার যাত্রা অতপর তার গ্রামের বাড়ি। তবে! রাকিবের গ্রামের বাড়িতে তার পরিবারের কেউ থাকেনা বিধেয় সিধান্ত হলো আমরা ঐ ভুতুরে রাজবাড়িতেই থাকবো। আমি প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হই। কিছূ করার নাই। গনতন্ত্র বলে একটা কথা আছে।


গ্রামের পথ। কোনো যানবাহন নেই । পৌছুতে পৌছুতে সন্ধ্যা  হয়ে যায়। আমি, ফয়সাল, রাকিব,সোহান অবশেষে রাজবাড়ির মূল ফটকে পৌছাই।
ভিতরে দেখা যাচ্ছে, নিবু নিবু করে একটু আলো বাহিরে আসছে।আন্দাজ করে বলা যায় বাতিটা 50 পাওয়ারের হবে। আমরা মূল ফটক খুলতেই ক্যাচ করে একটা শব্দ হলো। চারদিকে নিঃস্তব্ধ পরিবেশ। আশেপাশে লোকালয় নেই। দূর থেকে মাগরিবের আযানের আওয়াজ আসছে। বাড়ির আশে পাশে জঙ্গল বিধেয় বাদুড়ের আনা-গোনো শুরু হয়েছে। আমরা আস্তে আস্তে বাড়িতে প্রবেশ করতে লাগলাম। হাতে একটা টর্চ লাইট ছাড়া আর কিছুই না। ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্তর। আমরা বাড়ির মূল দরজায় আসতেই,

" কে? ওখানে! কারা এখানে? কী করছে এখানে?"
একটা কর্কষ ভাষায় পেছন থেচে শব্দ শুনলাম । ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখি এক বয়স্ক লোক হাতে একটি হারিকিন নিয়ে দাড়িয়ে আছে। গায়ে চাদরের আবরন। বুজতে পারলাম না এই গরমের দিনে কেন গায়ে চাদর দেওয়া ।

" আসলে আমরা এখানে বেড়াতে এসেছি। কলেজের বন্ধে এখানে ঘুরতে এসেছি।"

"ওহ  তাহলে আপনারাই তারা? বড় বাবু আমাদের সব বলেছেন।"
" মানে? কোন বড় বাবু?"(ফয়সাল)
" আপনারা সালাম সাহেবের আত্মীয় না?"

আমি কিছূ বলতে যাবো এমন সময় ফয়সালা হাতে চিমটি কেটে বলল,
"জ্বী।আমরা সালাম সাহেবের আত্মীয়। এখানে ঘুরতে এসেছি। উনি গত মাসে এখানে আসতে বলেছেন।"

"আচ্ছা। আপনারা ভিতরে আসুন। আমি আপনাদের খাবারের ব্যাবস্থা করছি।"

"আচ্ছা। ধন্যবাদ"


ভিতরে প্রবেশ করতেই একটু অবাক হলাম। এতো বছরের পুরোনো বাড়ি কিন্তূ আজও মনে হয় তরতাজা। মনে হয় জমিদার সাহেব আজও এখানে আছেন।

বয়স্ক লোকটিকে বললাম, আমাদের থাকার রুম কোনটা? তিনি বললেন, ঐযে উপরের রুমগুলো দেখতে পাচ্ছেন? ওগুলো।

আমি যেহেতু একটু ভয় পাই তাই আমি আর সোহান এক ঘরে থাকবো। আর ফয়সাল আর রাকিব আলাদা ঘরে।
রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে একটু অবাক হলাম। টেবিলে হরেক রকমের খাবার সাজানো । মনে হচ্ছে আমরা আসবো তা উনি আগে থেকে জানতেন। যাই হোক! আমাদের মনে প্রথমে সন্দেহ জাগলেও পরে তা খাবার দেখে ঝেরে ফেলি। ফয়সাল তো বেশ আরাম করে খাচ্ছে। আমিও খাবার মুখে দিতে এক অন্যরকম অনুভুতি পেলাম।

"করিম সাহেব?(বয়স্ক লোকটির নাম) এতো খাবার কোথায় পেলেন? এরকম স্বাদ কখনো পাইনি।" বললাম আমি।

লোকটি হেসে বলল," আমার গিন্নি রান্না করেছে। আজ থেকে  12 বছর আগে সে মারা যায় ।
খাবার খেতে খেতে কাশি উঠল আমার।
"কী কী কীহ? কী বললেন?"
" আজ্ঞে মহাসয় মজা করলাম। আমার গিন্নি খুব ভালো রান্না করেন। পাড়ায়ও বেশ পরিচিত। তাই বললাম।"

" ওহ! আপনি তো আমাকে ভয় পাইয়ে দিলেন। এমনিতেই এই  পুরানো জমিদার বাড়ি
তার উপর এসব কথা। আমার একদম ভালো লাগে না"

সবাই আমার কথা শুনে হেসে উঠল ।
খাবার খাওয়া শেষ হয়ে সবাই যার যার রুমে গেলাম। নেটোয়ার্কও ভালো নেই যে সুমাইয়াকেও কল দিবো। হঠাৎ মাথায় আসল আমাদের ধোকাবাজির কথা! তাই তৎখনাৎ ফয়সালের ঘরে ঢুকলাম।

" কীরে আশিক? কিছূ লাগবে?"
" নারে দোস্ত! তবে একটা কথা বলতে আসছিলাম।"

" কী বল?"

" আমরা যে সন্ধ্যায় মিথ্যে কথা বললাম। কাজটি কী করি উচিত হয়েছে?"

" আরেহ! টেনশন করিস নাহ। জানতে পারলে চলে যাবো সমস্যা কী?"

আমি মন খারাপ করে রুমে এসে পড়লাম। সারাদিন জার্নি করায় শরীরটা অনেক টায়ার্ড ছিলো। তাই রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি ফয়সাল নিখোজঁ। সকাল সকাল এ ধরনের নিউজ শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।

আমি সোহানকে বললাম,
"আরে। ঘুরতে গেছে হয়তো । চিন্তা করিস না ফিরে আসবে।"

আমরা  সারাদিন ফয়সালকে খুজলাম কিন্তু পেলাম না। এদিকে করিম চাচাও কিছু বলছে না। তার চোখে বিষন্নতার ছাপ। মনে হচ্ছে কিছূ লুকাচ্ছে। আমরা চিন্তায় পড়ে গেলাম। রাকিব আর সোহানকে বললাম,

" আমরা এসেছিলাম মজা করতে আর সে আমাদের সাথে মজা করছে? আমার এই লোকটাচে সন্দেহ হচ্ছে। নিশ্চই কিছূ লুকাচ্ছে।"

" আমারো তাই মনে হচ্ছে রে। নিশ্চই এই বাড়িতে কিছু আছে। না হলে, ঐ বয়স্ক লোকটিকে দেখেছিস! কী করলো?"


"দোস্ত? আমি আজ  রাতে খাবারের পর ঐ লোকের পিছু নিবো। "


" না দোস্ত এই কাজ করিস না। যদি তোর কোনো ক্ষতি হয়ে যায়?" বলল সোহান

" আচ্ছা দেখা যাবে!"

রাতের খাবারের সময় লোকটি আমাদের ডেকে নিয়ে গেলো। রাতের বেলা রাকিব খুবই অল্প খেলো। ওর চোখে কেমন জানি সন্দেহের ছাপ। খাবারের পর যখন করিম চাচা যেতে লাগলো তখন রাকিব ও পিছে পিছে ছুটল।
আমি আর সোহান রাকিবের কথা চিন্তা করে ওদের পিছু পিছূ ছুটতে লাগলাম। লোকটা জমিদার বাড়ির মূল করিডোর ধরে হাটতে লাগলেন।কেনো জানি তার সাথে হেটে আমরা পেরে উঠছি না। আর, আশচর্যের বিষয় তিনি সোজা হাটছেন একটা রোবটের মতো । আমরা ছেলেরা বা মেয়েরা যেভাবে হাটি তিনি তার কোনভাবেই হাটছেন না। উপর তলার করিডোর শেষ করে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগলেন। আমরাও তার পিছূ করছি নিঃশব্দে। কিন্তু এটা কী হলো?
সিড়ির কাছে আসতেই দেখি লোকটি উধাও! এটা কীভাবে সম্ভব? সিড়ির প্রত্যেক পার্টে 50 এর মতো ধাপ। এতো কম সময়ি কীভাবে পাড় করলেন? আমরা বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত।

ভয়ার্ত মুখ নিয়ে আমরা আমাদের রুমে আসছিলাম । তখন হঠাৎ, খুবই করুন শব্দে আমি একটা মেয়ের কান্নার আওয়াজ।

" দোস্ত থাম! একটু দাড়া।" হঠাৎ করে খুবই চুপি সারে বললাম।

" কেন কী হয়েছে?" বলল সোহান।

" তুই কোনো শব্দ শুনতে পাচ্ছিস না?

"কৌ? নাতো"

"চুপ! কথা বলিস না"

অতপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে আমি একটি মেয়ের করুন সুরে কান্নার আওয়াজ পাচ্ছি করিডোরের পাশে থাকা রুম থেকে।

" কীরে? কিছু শুনলি?"পেছনে তাকিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে বললাম আমি। সোহান আর রাকিবের চোখে ভয়ার্ত এক ছাপ। আমি শব্দের উৎস খোজার চেষ্টা করলাম আসলে শব্দটা কোথা থেকে  আসছে। গুটি গুটি পায়ে এগোতে লাগলাম । লাল রঙের এক দরজার কাছে আসতেই শব্দটা স্প্ষট হতে লাগল। আমি পেছন ফিরে তাকিয়ে সোহানকে ফিসফিসিয়ে বললাম,

"কীরে? দরজা খুলবো?"

"খুল দোস্ত । আজকে জানতেই হবে দরজার আড়ালে কী রয়েছে।


আমি যেই দরজাটা ধাক্কা দিতে যাবো ওমনি পেছন থেকে আবার কর্কষ গলায় ও রাগ্বানিত স্বরে,

"আপনারা এখানে কী করছেন? জানেননা এখানকার রাতের পরিবেশ ভালো না।"  চোখ রাঙিয়ে কথাটি বলল করিম চাচা।

"নাহ। আসলে বাহিরে একটু বাতাস থেকে এসেছিলাম। হঠাৎ, এই রুম থেকে একটি মেয়ের কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। তাই চেক করতে আসলাম।" হাসিমাখা সুরে বললাম আমি।


"নাহ। এখানে কোনো মেয়ে থাকে না। আপনাদের মনের ভুল। চলে যান"


আমরা কিছু না বলে চলে আসলাম আমাদের রুমে। ঐদিন আমরা 3 জন একসাথে এক রুমে ছিলাম।

"দোস্ত? ঐ করিম আমাদের কাছ থেকে কিছুতো লুকাচ্ছে!" বেশ রাগ্বানিত স্বরে বলল সোহান।

আমিও তার কথায় শায় দিলাম। সাথে বললাম, এখানকার পরিবেশ ঠিক সুবিধার মনে হচ্ছে না। আমরা কাল সকালে রওনা দিবো শহরের উদ্দেশ্যে। তবে জাওওয়ার আগে আজ রাতে আমাকে ঐ দরজার আড়ালে থাকা রহস্য জানতেই হবে। আমার কথা মতো সবাই রাজি হলো মানে রাকিব আর সোহান। কেননা, করিম চাচা বলেছে এখানে কোনো মেয়ে থাকে না। তাহলে ঐ কান্নার আওয়াজ আমি শুনলে একটা কথা ছিলো  বাট আমরা সবাই শুনলাম কিভাবে?




রাত 12 টার কাছাকাছি। সবাই তখন জাগ্রত। হাতে একটা টর্চ, ম্যাচ বাক্স আর মোবাইল ফোনটা। শুনেছি, ম্যাচ বাক্স কাছে থাকলে নাকি অশরীরী কিছু ভীড় করে না।

চারদিকে এক নিঃস্ত্বব্ধ পরিবেশ।দূরে কোথাও শেয়াল ডাকছে। ঝি ঝি পোকা গুলো ডাকাডাকি করছে না।মাঝে মধ্যে অদ্ভুত রকমের আওয়াজ কানে ভেসে আসছে।


আমি সোহান আর রাকিব দরজাটা আস্তে করে ফাক করলাম। অতপর, বাহিরে বের হলাম। ঘুটঘুটে অন্ধচার চারদিকে। জনমানবের কোনো চিহ্নমাত্র নেই। যাইহোক, আমরা আবার সেই করিডোরের লাব কালার চিহ্নিত দরজার কাছে আসললাম।

"দোস্ত? লাইটটা জ্বালা! আমি দরজাটা খুলছি"

চুপিসারে বললাম কথাটি সোহানকে আর রাকিবকে।
দেখলাম দরজায় একটা ছিটকিনি দেওয়া আর ওখানে একটা লালা সুতা দিয়ে বাধা কিছু একটা । আমি সুতার প্যাচটা খুললাম। অতপর, দরজাটা আস্তে আস্তে খুললাম। কিশ্চিৎ, একটু শব্দ হলো  তবে তা আমাদের  মাঝেই সীমাবদ্ধ।
আমি আস্তে আস্তে দরজাটা খুলতেই এক দমকা বাতাস বাহিরে বের হলো । শরীরটা কেনো জানি কাটা দিয়ে উঠলো।
  আমরা সকলে ভেতরে প্রবেশ করলাম। চারদিকে ভ্যাপসা  রকমের গন্ধ। বোজা যাচ্ছিলো না গন্ধটা ঠিক কীসের।
ভিতরে ডুকেই দরজা বন্ধ করলাম আর লাইট অন করলাম। লাইট অন করতেই আমার বুকে একটা  মৃদু হার্ট এটাক হলো।
রুমের চেয়ারে একটি মেয়ের লাশ বসে আছে। চোখগুলো নেই তার। কী এক ভয়ার্ত অবস্থা । মেয়েটি পেছনে একটি ছেলের লাশ পরে আছে  কাছে যেতেই দেখি ফয়সালের লাশ। খুবই অবাক যেমন হয়েছি তেমনি বুক ফেটে  কান্না আসছিলো। কিন্তু; কিচ্ছু করার নেই।
আমাদের প্রচুর রাগ হতে লাগল করিম চাচার উপর। তবে! তার কথা বলতে না বলতেই তিনি হাজির।

" তার মানে তোরা সব জেনে গেছিস? আজ তোদের রক্ষা নেই" কর্কষ ভাষায় বলল করিম।

"সালা কুত্তার বাচ্চা! তোর আজ রক্ষা নাই। তুই আমার বন্ধুকে মেরেছিস" করিমের কলার ধরে সোহান কথাটি বলল আর চটাস চটাস করে থাপরাতে লাগল।হঠাৎ করেই করিম চাচা সোহানকে জোড়ে ধাক্কা দিলো। এক ধাক্কাতেই করিডোরের বাহিরে গিয়ে পড়লো। বুঝলাম না বয়স্ক লোকটার গায়ে এতো শক্তি আসলো কোথা থেকে। তবে, আমরা সবাই অবাক হলাভ যখন তার মুখ থেকে বড় বড় দাত সে বের করতে লাগল। আমাদের আর বুডযে বাকি রইলো না জিনিসটা কি। আমি করিম চাচাকে জোড়ে এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই। তারপর রাকিব আর সোহানকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে তাকে ঘরবন্দি করি। অতপর, আমরা দ্রুত আমাদের ব্যাগ নিয়ে জমিদার বাড়ির বাহিরে বের হই  কিন্তূ রাস্তায় হয়তো আমাদের জন্য মৃত্যু অপেক্ষা করছে। মূল ফটকে দাড়িয়ে করিম চাচা।


" তোরা বেচে ফিরতে পারবি না। এখানে যারা আসে তারা নিজের ইচ্ছায় আসে কিন্তূ যায় আমার ইচ্ছায়। চিন্তা করিস না আজ পর্যন্ত কাউকে যেতে দেইনি।"

কর্কষ গলায় বলল করিম।
আমাদের কাছে আসছে সে আমরা না পারছি ভিতরে ঢুকতে না পারছি কিছূ করতে এমন সময় সাদা কাপড় পড়া এক মেয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়।
ভেবেছিলাম একজনের হাতে মরবো কিন্তূ এতো দেখি দু জন। মেয়েটি আমার কাছে এসে বলল,
।"ভয় পেয়ো না। আমাকে তুমি ঐ যাদুর দরছা থেকে বের করেছো। ঐ করিম তার বউয়ের যাদু বিদ্যার জন্য আমাকে বন্দি করে রেখেছে। ওর বউ ছিলো পিশাচ ডায়নি  আর ও সেরকম । এই বাড়ির সালাম সাহেবকে ও মেরেছে তার বউয়ের যাদু বিদ্যার জন্য । এই জমিদার পুরিটাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। কিন্তু, আমি ওর বউকে মেরে ফেলি। যার পর থেকে করিম আমার আত্মাকে এখানে বন্দি করেছে। প্রতিবছর এখানে অনেক মানুষ মারা যায় শুধু ওর কারনে। তোমার ভাগ্য ভালো যে আগে থেকে সব বুঝে গেছো।"

মেয়েটি কথাটি বলতে না বলতেই করিম তার দাত দিয়ে আমাকে কামড় বসাতে আসল। আমি এক চিৎকার দিতেই ঘুম থেকে উঠে গেলাম। উঠে দেখা আমি হাসপাতালের বেডে ।দু-পাশে সোহান আর রাকিব শুয়ে আছে। নার্সকে জিজ্ঞাস করলাম আমরা এখানে কীভাবে?

" আপনাদের 3 জনকে এক ভদ্রলোক ঐ পুরাতন জমিদার বাড়ির ফটকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছেন। তারপর এখানে এনেছেন। আমি দরজার দিকে তাকাতেই দেখি, এটা করিম চাচা। আমার কাছে উনি আসতে লাগল আর আমার ঘাম ঝরতে লাগল। হাতে একটি চিরকুট ধরিয়ে দিলো। আর; তাতে লেখা ছিলো,

" এবারের মতো বেচে গেলি"


1 বছর পর,

"এইটাই তো জমিদার বাড়ি। চল বেতরে ঢোকা যাক।" জিসান কথাটি বলতে না বলতেই,

"আজ্ঞে, মহাশয়!  কে? সালাম সাহেব পাঠিয়েছেন কী?"

"জ্বী!......"

অতপর;
অসমাপ্ত