দা সিক্রেট অফ দা আন্ডারওয়ার্ল্ড
লেখকঃ সোয়াদুল ইসলাম
পার্ট ১


" পৃথিবী রহস্যে ঘেড়া। এর রহস্য জানতে হলে আমাদেরকে এর গভীরে যেতে হবে। পৃথিবীর মতো আরো একটা পৃথিবী লুকিয়ে আছে এর গভিরে।"

হঠাৎ করে পিছন থেকে হ্যারি ডাক দিল।
কি হয়েয়ে
একটা জিনিস খুঁজে পেয়েছি। তারাতারি আস।

আমি বইটি রেখে ল্যাবে গেলাম।

এইটা দেক।
কি?
দেক তোর বাবার ডাইরি থেকে এই লেখাটা পেলাম।
আমি কৌতূহল হয়ে লেখাটা পরলাম।

তারিখ ০২.১২.২০০০
"কাল ছেলের জন্মদিন।
কিন্তু আজই আমাকে যেতে হবে। আজ সেই দিন।
এই দিনের জন্য আমি দীর্ঘ ১২ বছর আপেক্ষা করছি।
আজই হয়তো এই পৃথিবীকে শেষবার দেখব। নয়তো ফিরে আসলে আমার আবিস্কারে পৃথিবী বদলে যাবে।
সেই যা........."
বাকিটুকে কি লেখা জানি না, কারণ পৃষ্ঠাটা ছিঁড়া ছিল।

এখানে আসো, নিচে কিছু দেখা যাচ্ছে।
অলিভার তারাতারি আসলো এবং দেখল গুহার মুখটা খোলা।
তারা প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র এবং ব্যাগ নিয়ে গুহার দিকে রওনা দিল। কিন্তু গুহার দিকে যেতেই একধরনের গর্জন শুনতে পারলো।

থোমাস তারাতারি চল এখান থেকে, মনে হয় ওই জন্তুটা আবার এসেছে। তখন অলিভা ও থোমাস ঐখান থেকে চটপট বেরিয়ে গেল। কিন্তু সামনে যেতেই ওরা দেখল গুহাটা খাঁড়া ভাবে নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। আর নিচে কিছু একটা থেকে আলো আসেছে। জন্তুর ভয়ে ওরা আর কিছু না ভেবে আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামতে লাগলো।

আমি হ্যারিকে জিজ্ঞাস করলাম লেখার বাকিটুক কি হয়েছে।
আমি জানি না। হয়তো বাক্সের কোথাও আছে। দারা আমি দেকছি।

আমি আবার আমার রুমে এসে বইটা নিলাম। কিন্তু কোথায়ে পড়া শেষ করিছি মনে নাই। পৃষ্ঠা উল্টাতেই একটা লেখা চোখে পড়লো।

"এখানের পানি পৃথিবীর পানির মতো নয়। এখানের পানি কখনো নোনতা আবার কখনো মিষ্টি। পানির বর্ণটাও অন্য রকম। ওপরের পৃথিবীতে প্রজাপতির মতো দেকতে এখানকার পাখি আবার মাছের মতো জীব এখানে মাটিতে চলাফেরা করে। এরা অনেক ভয়ানক।
এদের দাত ছুড়ির মতো ধারালো। একধরনের জিব এখানে সবচেয়ে মারাত্মক। এদের দেকতে আদিকালের ডাইনোসরদের মতো দেকতে। কিন্তু একটু অন্য রকম।
এখানে আরো একধরনের জীব দেখা যায় যারা দেকতে মাকড়শার মতো কিন্তু অনেক বড়। একজন সাধারণ মানুষের থেকে লম্বার দিগুণ হবে।"
এরপর আমার ঘুম পায় তাই আনি ঘুমিয়ে পরি।

চলবে.........