গল্প:ডার্কেসী
পর্ব:6
আমরা বুজতে পারলাম না কী করব। ডক্টর লি তখন বললেন, টেলিপোর্টেশনর্ফার ব্যাবহার করো! দেখো কী হয়। আমি বললাম, এখানে গ্রাভটি নেই। আমাদের শরীরের প্রোটন আর ইলেকট্রন যদি ভেঙে যায় তবে সেটা সারা মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে কেননা! তখন আমাদের বায়ো ইলেকট্রিক সুট তখন ভেঙে যাবে। আমাদের টিমের সবাই চিন্তায় পড়ে গেলাম।
ব্রডি তখন বলল, আমরা সসারকে টেলিপোর্ট করতে পারি? আমরা তো এটার ভিতরে থাকব।"
আমি বললাম, " না! এতে সেই একই ঘটনা ঘটবে। আমরা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। "
কিন্তু, প্রেষ্টন বলে উঠল!" তাহলে শেষ পথ একটাই। "
আমি বললাম,"কী?"
প্রিষ্টন বলল," আমরা সেন্সরের নেটওয়ার্ক এনালাইসিস করে হ্যাক করতে পারি অথবা কোনো ফাক-ফোকর খুজে সেটা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারি"
"অসাধারন আইডিয়া! প্রিষ্টন। তুমি এই প্রথম কাজের কথা বললে"
প্রিস্টন রাগ্বনিত চোখে তাকাল। আমি বললাম," হা হা , ইয়ে মানে মজা করছিলাম।"
অতপর, আমি প্রিষ্টকে বললাম, "সসারে কম্পিউটার আছে তুমি ডেবিডকে নক করো নেটওয়ার্কে কানেক্ট করতে । ও নেটওয়ার্ক এনালাইসিস করুক।"
বেশ কিছুক্ষন পর!প্রিস্টন ও ডেবিড নেটওয়ার্ক হ্যাক করতে পারলো। এবং বর্ডারে থাকা সমস্ত সেন্সর বন্ধ করে দিলো। আমরা খুব সহজেই প্রবেশ করতে থাকলাম। ব্রডি আর ক্যালভিন সসার নিয়ে চলে গেছে। ঘাড়ে একটা ব্যাকপ্যাক। আছে, একটা টেলিপোর্টেশন মর্ফার, বায়ো ইলেকট্রিকফিল্ড রি- এনার্জাইস ডিভাইস, একটা কানেক্টেড নেটওয়ার্ক কন যেটা হাতে পড়া। যেকোনো সময় এর মাধ্যমে আমরা ডেবিড ও ডক্টর লি এর সাথে কথা বলতে পারি।
যাইহোক! আমরা 2 জন মুমু গ্রহের দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম। তবে বেশ কিছুক্ষন পর! একটা তীব্র ঝাঝালো গন্ধ অনুভব করলাম আমাদের আশেপাশে । প্রিষ্টন এতক্ষন আমার সাথে ছিলো। ঘাড় ঘুরিয়ে দেছি প্রিস্টন অজ্ঞান হয়ে শূন্যে ভাসছে। আমি তার কাছে যেতে চেষ্টা করলাম। তবে, যাওয়ার আগে আমার মাথাটা একটা চক্কর দিলো আর জ্ঞান হারালাম। আমার আর কিছুই মনে নেই।
#RedX এর ডোমে.....
( আশিক এবং প্রিষ্টন 1 বছর কেটে যায় Redx এর বন্দী ডোমে। তারা জানত না তারা যখন নেটওয়ার্ক হ্যাক করেছিলো তাদের সেই নেটওয়ার্কে হায়াতো রোবোটিং প্রোগ্রাম এক্টিব রেখেছিলো। যার ফলে, কেউ নেটওয়ার্কে ঢোকার চেষ্টা করলে এলার্ম বাজবে তাদের ডোমে। যার ফল স্বরুপ প্রিষ্টন ও আশিক বন্দী তাদের ডোমে। আজ 1 বছর পর তাদের জ্ঞান ফিরেছে। অতপর....)
চোখটা খুব ব্যাথা করছে। সারা শরীরে ব্যাথা কেনো জানি। আমি দেখতে পেলাম একটা সেল এর মধ্যে আমি পড়ে আছি। প্রিষ্টনকে কোথাও দেখতে পেলাম না। আহ; উঠার সময় কমড়ে প্রচন্ড ব্যাথা। 10 মিনিট একটা অন্যরকম ঘোরের মধ্যে ছিলাম। বুজতে পারছিলাম না! আমি কোথায়।
তবে যাই হোক! আমার কেনো জানি আবার মাথাটা ব্যাথা করতে লাগলো এবং একটা সময় আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
( এদিকে পৃথিবীতে Deltra83 ভাইরাস ছড়িয়ে মহামারির আকার ধারন করেছে। ডক্টর লি. এখনো এর এন্টিডোট আবিষ্কার করতে পারেনি। বিশ্বের সবগুলো দেশে এইটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। চারদিকে এক অজানা আশংকা বিরাজ করছে। ডক্টর লি ও ডেবিড তার শহর ত্যাগ করে দূরে এক উপত্যকায় চলে গেছে। কেননা, শহরে থাকলে তারাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। এদিকে, ডক্টর লি মাঝে মাঝে আশা ছেড়ে দেন টিম 07 হয়তো আর ফিরে আসবে না । পৃথিবীতে তারা 2 জন শুধু এই ভাইরাসের হাত থেকে বেচে আছে । তবে তারা এন্টিডোট বানানোর কাজ করে যাচ্ছে।
"ডেবিড? কোনো নিউজ আসলো স্পেস থেকে? আমার মনে হয় খুব শিঘ্রই আমরাও পৃথিবী থেকে উধাও হয়ে যাবো। সে ইশ্বর আমাদের রক্ষা করুন"
" না স্যার। এখনো কোনো সন্ধান পাইনি। তবে! প্রতিদিন নেটওয়ার্ক এনালাইসিস করি।"
" করতে থাকো। আমার মনে এখনো কিছূটা আশা আছে । কারন, তাদের দু-জনের DNA বায়োইলেক্ট্রিক ফিল্ডের সাথে এখনো এক্টিভ রয়ছে।"
" জ্বী স্যার। আমরা একদিন তাদের খূজে পাবো।"
( স্পেস)....
প্রিষ্টন আজ প্রায় 1 বছর পর ঘুম থেকে উঠলো । ঘুম বলতে আসলে সে হায়াতোদের ফাদে পড়ে অজ্ঞান ছিলো।
-শরীরটা প্রচুর ব্যাথা করছে।আশেপাশে যেমন কিছু নেই। মনে হচ্ছে চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ।কিছুটা সেলের মতো।
প্রিষ্টন দেখতে পেলো তার হাতের বায়ো ইলেকট্রিক ফিল্ড এর রি- এনার্জাইস মরূফার এখনো আছে। তবে, টেলিপোর্টেশন মর্ফারটা নেই।
" হ্যালো ! চ্যাক। ডেবিড! তুমি কী আছো? হ্যালো ডেবিড তুমি কী আছো? শুনতে পাচ্ছো? আমাকে?"
ডেবিড তখন পৃথিবীতে ঘুমাচ্ছিলো। হঠাৎি তার কন্ট্রোল রুমে এলার্ম বেজে উঠল। হকচকিয়ে যেতে লাগল কন্ট্রোলরুমের দিকে।
" ডক্টর লি? উঠুন! কিছূ গন্ডগল হয়েছে কন্ট্রোল রুমে!"
চোখ ডলতে ডলতে ডক্টর লি উঠল।
"কী হয়ছে?"(ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে)
" স্যার! কন্ট্রোল রুমে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। চলুন! দেখি"
"কী বলো! এখনি চলো"
দু-জন যেতে লাগল কন্ট্রোল রুমে। রুমটা দূরে নয়। বাসার পাশে একটা ঝোপের আড়ালের সূরঙ্গ ধরে গেলেএ ষাওয়া যাবে। রুমের চতুর্দিকে ফাইবারের গ্লাস দেওয়া। কাচের আবরন সাথে ফোম। যাতে শব্দ কোথাও যেতে না পারে। আর, কেউ বুঝতেও না পারে।
সুইচটা অন করল ডেবিড। স্কানার মেশিনে দাড়াল অতপর! রুম অটোমেটিক খুলে গেলো। তারা । রুমে ঢুকতেই পিসি তে একটা মেসেজ এসেছে দেখা যাচ্ছে। ডেবিড হকচকিয়ে উঠল
চলবে
পর্ব:6
আমরা বুজতে পারলাম না কী করব। ডক্টর লি তখন বললেন, টেলিপোর্টেশনর্ফার ব্যাবহার করো! দেখো কী হয়। আমি বললাম, এখানে গ্রাভটি নেই। আমাদের শরীরের প্রোটন আর ইলেকট্রন যদি ভেঙে যায় তবে সেটা সারা মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে কেননা! তখন আমাদের বায়ো ইলেকট্রিক সুট তখন ভেঙে যাবে। আমাদের টিমের সবাই চিন্তায় পড়ে গেলাম।
ব্রডি তখন বলল, আমরা সসারকে টেলিপোর্ট করতে পারি? আমরা তো এটার ভিতরে থাকব।"
আমি বললাম, " না! এতে সেই একই ঘটনা ঘটবে। আমরা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। "
কিন্তু, প্রেষ্টন বলে উঠল!" তাহলে শেষ পথ একটাই। "
আমি বললাম,"কী?"
প্রিষ্টন বলল," আমরা সেন্সরের নেটওয়ার্ক এনালাইসিস করে হ্যাক করতে পারি অথবা কোনো ফাক-ফোকর খুজে সেটা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারি"
"অসাধারন আইডিয়া! প্রিষ্টন। তুমি এই প্রথম কাজের কথা বললে"
প্রিস্টন রাগ্বনিত চোখে তাকাল। আমি বললাম," হা হা , ইয়ে মানে মজা করছিলাম।"
অতপর, আমি প্রিষ্টকে বললাম, "সসারে কম্পিউটার আছে তুমি ডেবিডকে নক করো নেটওয়ার্কে কানেক্ট করতে । ও নেটওয়ার্ক এনালাইসিস করুক।"
বেশ কিছুক্ষন পর!প্রিস্টন ও ডেবিড নেটওয়ার্ক হ্যাক করতে পারলো। এবং বর্ডারে থাকা সমস্ত সেন্সর বন্ধ করে দিলো। আমরা খুব সহজেই প্রবেশ করতে থাকলাম। ব্রডি আর ক্যালভিন সসার নিয়ে চলে গেছে। ঘাড়ে একটা ব্যাকপ্যাক। আছে, একটা টেলিপোর্টেশন মর্ফার, বায়ো ইলেকট্রিকফিল্ড রি- এনার্জাইস ডিভাইস, একটা কানেক্টেড নেটওয়ার্ক কন যেটা হাতে পড়া। যেকোনো সময় এর মাধ্যমে আমরা ডেবিড ও ডক্টর লি এর সাথে কথা বলতে পারি।
যাইহোক! আমরা 2 জন মুমু গ্রহের দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম। তবে বেশ কিছুক্ষন পর! একটা তীব্র ঝাঝালো গন্ধ অনুভব করলাম আমাদের আশেপাশে । প্রিষ্টন এতক্ষন আমার সাথে ছিলো। ঘাড় ঘুরিয়ে দেছি প্রিস্টন অজ্ঞান হয়ে শূন্যে ভাসছে। আমি তার কাছে যেতে চেষ্টা করলাম। তবে, যাওয়ার আগে আমার মাথাটা একটা চক্কর দিলো আর জ্ঞান হারালাম। আমার আর কিছুই মনে নেই।
#RedX এর ডোমে.....
( আশিক এবং প্রিষ্টন 1 বছর কেটে যায় Redx এর বন্দী ডোমে। তারা জানত না তারা যখন নেটওয়ার্ক হ্যাক করেছিলো তাদের সেই নেটওয়ার্কে হায়াতো রোবোটিং প্রোগ্রাম এক্টিব রেখেছিলো। যার ফলে, কেউ নেটওয়ার্কে ঢোকার চেষ্টা করলে এলার্ম বাজবে তাদের ডোমে। যার ফল স্বরুপ প্রিষ্টন ও আশিক বন্দী তাদের ডোমে। আজ 1 বছর পর তাদের জ্ঞান ফিরেছে। অতপর....)
চোখটা খুব ব্যাথা করছে। সারা শরীরে ব্যাথা কেনো জানি। আমি দেখতে পেলাম একটা সেল এর মধ্যে আমি পড়ে আছি। প্রিষ্টনকে কোথাও দেখতে পেলাম না। আহ; উঠার সময় কমড়ে প্রচন্ড ব্যাথা। 10 মিনিট একটা অন্যরকম ঘোরের মধ্যে ছিলাম। বুজতে পারছিলাম না! আমি কোথায়।
তবে যাই হোক! আমার কেনো জানি আবার মাথাটা ব্যাথা করতে লাগলো এবং একটা সময় আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
( এদিকে পৃথিবীতে Deltra83 ভাইরাস ছড়িয়ে মহামারির আকার ধারন করেছে। ডক্টর লি. এখনো এর এন্টিডোট আবিষ্কার করতে পারেনি। বিশ্বের সবগুলো দেশে এইটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। চারদিকে এক অজানা আশংকা বিরাজ করছে। ডক্টর লি ও ডেবিড তার শহর ত্যাগ করে দূরে এক উপত্যকায় চলে গেছে। কেননা, শহরে থাকলে তারাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। এদিকে, ডক্টর লি মাঝে মাঝে আশা ছেড়ে দেন টিম 07 হয়তো আর ফিরে আসবে না । পৃথিবীতে তারা 2 জন শুধু এই ভাইরাসের হাত থেকে বেচে আছে । তবে তারা এন্টিডোট বানানোর কাজ করে যাচ্ছে।
"ডেবিড? কোনো নিউজ আসলো স্পেস থেকে? আমার মনে হয় খুব শিঘ্রই আমরাও পৃথিবী থেকে উধাও হয়ে যাবো। সে ইশ্বর আমাদের রক্ষা করুন"
" না স্যার। এখনো কোনো সন্ধান পাইনি। তবে! প্রতিদিন নেটওয়ার্ক এনালাইসিস করি।"
" করতে থাকো। আমার মনে এখনো কিছূটা আশা আছে । কারন, তাদের দু-জনের DNA বায়োইলেক্ট্রিক ফিল্ডের সাথে এখনো এক্টিভ রয়ছে।"
" জ্বী স্যার। আমরা একদিন তাদের খূজে পাবো।"
( স্পেস)....
প্রিষ্টন আজ প্রায় 1 বছর পর ঘুম থেকে উঠলো । ঘুম বলতে আসলে সে হায়াতোদের ফাদে পড়ে অজ্ঞান ছিলো।
-শরীরটা প্রচুর ব্যাথা করছে।আশেপাশে যেমন কিছু নেই। মনে হচ্ছে চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ।কিছুটা সেলের মতো।
প্রিষ্টন দেখতে পেলো তার হাতের বায়ো ইলেকট্রিক ফিল্ড এর রি- এনার্জাইস মরূফার এখনো আছে। তবে, টেলিপোর্টেশন মর্ফারটা নেই।
" হ্যালো ! চ্যাক। ডেবিড! তুমি কী আছো? হ্যালো ডেবিড তুমি কী আছো? শুনতে পাচ্ছো? আমাকে?"
ডেবিড তখন পৃথিবীতে ঘুমাচ্ছিলো। হঠাৎি তার কন্ট্রোল রুমে এলার্ম বেজে উঠল। হকচকিয়ে যেতে লাগল কন্ট্রোলরুমের দিকে।
" ডক্টর লি? উঠুন! কিছূ গন্ডগল হয়েছে কন্ট্রোল রুমে!"
চোখ ডলতে ডলতে ডক্টর লি উঠল।
"কী হয়ছে?"(ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে)
" স্যার! কন্ট্রোল রুমে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। চলুন! দেখি"
"কী বলো! এখনি চলো"
দু-জন যেতে লাগল কন্ট্রোল রুমে। রুমটা দূরে নয়। বাসার পাশে একটা ঝোপের আড়ালের সূরঙ্গ ধরে গেলেএ ষাওয়া যাবে। রুমের চতুর্দিকে ফাইবারের গ্লাস দেওয়া। কাচের আবরন সাথে ফোম। যাতে শব্দ কোথাও যেতে না পারে। আর, কেউ বুঝতেও না পারে।
সুইচটা অন করল ডেবিড। স্কানার মেশিনে দাড়াল অতপর! রুম অটোমেটিক খুলে গেলো। তারা । রুমে ঢুকতেই পিসি তে একটা মেসেজ এসেছে দেখা যাচ্ছে। ডেবিড হকচকিয়ে উঠল
চলবে
0 Comments