সিক্রেট অফ দা আন্ডারওয়ার্ল্ড
লেখকঃ সোয়াদুল ইসলাম
পার্ট ৩

আমরা ঠিক করলাম সাবমারিন বানাবো। কারণ ওত গভীরে আর কিছু যেতে পারবে না। কিন্তু আমারা একা এটা বানাতে পারবো না। তখনি মনে পরল জেমস ও এথান জাতীয় সাইন্স এন্ড টেকনোলজি টুর্নামেন্ট ২০১৮ তে একটা সাবমারিন তৈরি করেছিল। ওরা চাইলে আমাদের সাহায্য করতে পারে।
হ্যারি তাদের কাছে সাহায্য চাইতে গেলো। আর আমি বইটি থেকে আরও কিছু জানার জন্য পড়তে লাগলাম।
"বইটির কে লিখেছে তার ও নাম নাই।
এগুলো সত্য কিনা তাও জানি না।" ভাবতে ভাবতে একটা ছবি দেকতে পেলাম। ছবিটি ব্লাক এন্ড ওয়াইট।
এখনে সমুদ্রের আছে তা ভাল মতো বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু ওপরে ওটা কি? মনে হচ্ছে মেঘ কিন্তু এত বেশী পরিমাণে? মনে হচ্ছে ভাসমান সমুদ্র। কিন্তু সমুদ্রের ওপর আরো একটা সমুদ্র, এটা কি ভাবে সম্ভব?

অলিভার ও থোমাস ভয়ে কাঁপছে। কারণ এরকম প্রাণী তারা জীবনেও দেখেনি। প্রাণীটির পেছন থেকে আলো আসছে। এবং ঠাণ্ডা বাতাস ও আসছে। হয়তো ওটাই বাহিরে যাওয়ার রাস্তা। তারা সাহস করে। প্রাণীটির পাশ দিয়ে অন্য পাশে গেল। এই পাশে প্রাণীটি আসতে পারবে না কারণ গুহার মুখটা ছোট।
কিন্তু এই পাশে এসে তারা দুই মিনিটের মতো স্তব্ধ হয়ে গেল।
"পৃথিবীতেও হয়তো এতো সুন্দর কোনো স্থান নেই।" থোমাস অলিভার কে বলল।


বৃহৎ একটা গাছ মাঝে আর চারপাশে সুন্দর সুন্দর ফুল ও নানান রকম গাছ। এরকম ফুল ও গাছ পৃথিবীতে নেই।
থোমাস ও অলিভার ধীরে ধীরে বড় গাছটির দিকে যেতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরে থোমাস পিছে তাকিয়ে দেখে আলিভার নেই।

জেমস ও এথান রাজি হয়েছে কিন্তু এই সবমারিন সমুদ্রের এত গভীরে ও এতো তাপ সহ্য করার জন্য পস্তুত নয়। এটা আপগ্রট করতে হবে।
আমি ও হ্যারি আমাদের একাউন্টের সব টাকা দিয়ে সাবমারিনের কাজ শুরু করি। এটা জুন মাস। সাবমারিনটি বানাতে আন্তত পাঁচ মাস লাগবে।

থোমাস কয়েক ঘনটা ধরে আলিভার কে খুঁজছে। কিন্তু পাচ্ছে না। খুঁজাখুঁজির মধ্যে আনেক রহস্যময় বস্তু পেলো। কিন্তু সেদিকে তার খেয়াল নেই। পাঁচ ঘনটার মতো হল। এখনও পায় নি। এখন হাটতে হাটতে সেই ঘুমন্ত প্রাণীটির কাছে আসল। কিন্তু এখানে প্রাণীটিও নেই।

বাঁর ঘনটার মতো হল। এখন ত্থোমাস হাটতে হাটতে সমুদ্রর পাশে এসে বসল আর ভাবল, " কেন আমি সেদিন এই স্থানটিতে আসলাম?
আসলেও কেনো আমার প্রিয় বন্ধুটাকে আনলাম?
আমার জন্য কি আমার বন্ধুর প্রাণ চলে গেল?
না, না। হয়ত কোথায় আটকে পরেছে। আবার হয়তো প্রাণীটির হাতে শিকার হয়েছে।
কেন যে আমি এখানে আসলাম। " আরও নানান কথা ভাবতে ভাবতে কয়েক ঘণ্টা কেটে গেল।
চারদিকে অন্ধকার হয়েগেছে। সূর্য নেই। তবুও রাত হয়েছে।
থোমাস বড় গাছটির ভিতরে গেল। খোঁজাখুঁজি করার সময় সে লক্ষ করেছিল কে যেন আগে এখানে থাকত।
কারণ সেখানে অস্র ও চামড়ার তৈরি পোশাক সহ
আরও অনেক কিছু ছিল।

চলবে............


দা সিক্রেট অফ দা আন্ডারওয়ার্ল্ড
লেখকঃ সোয়াদুল ইসলাম
পার্ট ৪

থোমাস এখনও সে দিনের কথাগুলো ভাবচ্ছে।
থোমাস ও আমাদের মতো পৃথিবীর গভীরে যেতে চেয়েছল। তাই বহু বছর ধরে গবেষণা করে আমাদের মতো জানতে পারে যে ওয়েস্ট মাটা ভলকেনোর কথা।

কিন্তু সে এত দিন অপেক্ষা না করে অন্য উপায় বের করে। সে জানতে পারে ওয়েস্ট মাটা ভলকেনোর প্রায়
আশি কিলোমিটার দূরে টাফি/তাফি নামক দ্বীপ রয়েছে।
হয়তো ওখানে কোন রাস্তা আছে।
তাই সে ঠিক করে এখানে যাবে। ওখানে যাবে, কিন্তু
থোমাসের প্রিয় বন্ধু অলিভার তাকে একা যেতে দেয় না।
থোমাসও ভাবেনি যে তারা সত্যি এখানে এসে পরবে।

তারা দুই মাস পর তারা দ্বীপটিতে আসে। শাহরের থেকে একটু দূরে জঙ্গলে একটা গুহা খুঁজে পেল।
"এই গুহায় হয়ত কিছু পাব।" এটা ভেবে তারা ভিতরে খোঁজাখুঁজি করা শুরু করল। কিন্তু হঠাৎ থোমাস এক গর্তে পরে গেল। অলিভার তাকে বাঁচাতে সেও নিচে নামল কারণ থোমাস পায়ে জোট পেয়েছে। কিন্তু পায়ের নিচের পাথর ভঁর সহ্য করতে পারে না এবং ভেঙ্গে যায়। খানিকটা নিচে পরে যায় তারা। কিছুক্ষণ পরে থোমাসের জ্ঞান ফিরে আর নিজেদেরকে ব্যন্ডেড মাইন্স্যফটে পায়।
অলিভারের ও জ্ঞান ফিরে।

থোমাসঃ "মাইন্স্যফটটা ঘুরে দেকতে হবে। হয়ত এখান দিয়েই ঐ জায়গাটায় যাওয়া যাবে।"
" না চল ফিরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজি।"
"এত ভীতু হলে চলবে না। ভুলে গেলি আমরা এখানে কেন এসেছি?"
"না। ভুলি নি। তুই শুধু ওখানের যাওয়ার রাস্তাটা খুঁজবি বলেছিলি।"
"তাই ত করব"
"না আগে বাহীরে যাওয়ার রাস্তাটা খুঁজতে হবে।"
"তুই থাকলে চললে চল। আমি ত গেলাম"

থোমাস ও অলিভার বাহিরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে পিছন থেকে এক ভয়ানক গর্জন শুনতে পেয়। পেছনে তাকিয়ে দেখে ডাইনোসরের মতো দেকতে একটা প্রাণী তাদের তারা করছে।
থোমাস একথাগুলো ভাবতে ভাবতে হাঁটছিল। তখন পিছন থেকে কি যেন তার হাতে অনেক জোরে কামড় বসায়। পিছনে তাকিয়ে দেখে কয়েকটা মাংসাশী গাছ। কিন্তু আকারে অনেক বড়।
থোমাস ছুরিটা বের করে গাছগুলোর শাখা-প্রশাখা গুলো কাটতে লাগল, কিন্তু পিছন থেকে আরও কয়েকটা গাছ এসে কামড়াতে লাগল।

কয়েক মিনিট ধরে এভাবে চলতে চলতে থোমাস সব গাছগুলকে মারল। কিন্তু গাছের বিষের কারণে ধীরে ধীরে থোমাসের শরীর অকেজো হয়ে পরছে।

সামনে অলিভারের ব্যাগ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু অলিভার নেই। থোমাস কয়েক ঘণ্টা মৃতুর সাথে লড়াই করে হার মেনে নেয়। আসলে অলিভার ও এভাবেই এখানে এই মানুষ খেকো গাছগুলোর হাতে মারা যায়।

ছয় মাস পর.........

চলবে............,