ইউসেপ ইউসেপ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার গাজীপুর ইউসেপ মিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল ঢাকা ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুল ইউসেপ ট্রেনিং ইউসেপ মিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল ইউসেপ স্কুল ইউসেপ রংপুর ইউসেপ বাংলাদেশ ইউসেপ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল ইউসেপ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সিলেট ইউসেপ এর উদ্দেশ্য ইউসেপ এর প্রতিষ্ঠাতা ইউসেপ এর লক্ষ্য ucep এর পূর্ণরূপ কি ইউসেপ কি ইউসেপ খুলনা ইউসেপ গাজীপুর ইউসেপ চট্টগ্রাম ইউসেপ - বাংলাদেশ চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম ইউসেপ স্কুল চট্টগ্রাম ইউসেপ টেকনিক্যাল ইউসেপ ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল ইউসেফ ইউসেপ ঢাকা ইউসেপ - বাংলাদেশ ঢাকা ইউসেপ নিয়োগ ইউসেপ বরিশাল ইউসেপ মিরপুর স্কুল ঢাকা ইউসেপ মিরপুর ইউসেপ - যাত্রাবাড়ী টেকনিক্যাল স্কুল ঢাকা ইউসেপ রাজশাহী টেকনিক্যাল স্কুল ইউসেপ রাজশাহী ইউসেপ স্কুল রাজশাহী ইউসেপ সিলেট
গল্প: হিউসেপ

ক্যাটাগরী: গোয়েন্দা+থ্রিলিং
লেখক: আশিকুর রহমান
পর্ব:৫

চিৎকারটা শুনে পিন্জ ভয় পেয়ে গেলো। যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত ফোর্সকে খবর দিলো ব্রডি যেই বাসাতে অবস্থান করছে সেখানটা ঘেরাও  করতে । নিশ্চই সেখানে খারাপ কিছু হয়েছে। অতপর, বেশখানিক বাদে পিন্জ তার ফৌর্স নিয়ে বাসার সামনে পৌছালো।

"ক্যালবিন! দ্রুত দরজাটা ভাঙো!"

চুপিসারে দ্রুততার সহিত একজন  টিম মেম্বারকে কথাটি বললো পিন্জ। অতপর, এক লাথিতে দরজাটি ভাঙা হলো।ভেতরে ঢুকতেই দেখে ব্রডি অজ্ঞান হয়ে পাশে পড়ে আছে আর তার পাশে রক্তমাখা জামায় পড়ে আছে এক তরুনী। চেক করে দেখা গেলো তরুনীটা মারা গেছে।

*পরদিন সকাল

ব্রডি আস্তে আস্তে তার চোখ খুলল। খুলেই দেখতে পেলো পিন্জ পাশে বসে আছে ।

"কী হয়েছে আমার?"
হুমড়ি খেয়ে উঠৈ বসে কথাটি বলল ব্রডি।

"তোমার সত্যিই কিছু মনে নেই?" (পিন্জ)

"না! তারমানে আবার খুন হয়েছে?"

"হুম। তোমার সাথে থাকা মেয়েটা এবার খুন হয়েছে।"

"কীহ কী বলো এসব! আমি তো ঠিকই ছিলাম যতদূর মনে পড়ে আমি আর মেয়েটি একসাথে একটি সোফায় বসে ছিলাম।"

"তাহলে হঠাৎ এমন হলো কেন?"

"জানা নেই বন্ধু। আচ্ছা বাসাটায় ইনভেগটিগেশন শুরু হয়েছে? "

"নাহ। তুমি নেই তাই এখনোও অফ রাখছি।"

"খুব ভালো কাজ করছো। এখন চলো আমার সাথে।"

অতপর ব্রডি আর পিন্জ বাসাটায় সার্চের জন্য গেলো। প্রথমেই ব্রডি বেড রুমে আলমারির উপরে থাকা সিসি ক্যামেরাটা নামালো।

"ব্রডি এটা কী?"

"পিন্জ তুমি চুপচাপ থাকো। আমার সাথে এই খুন গুলোর  অদ্ভুত সম্পর্ক আছে। তুমি এক কাজ করো! USA সদর দপ্তরে আমাদের মেডিকেল এন্ড ফরেনসিক টিমের কাছ থেকে ডক্টর লি এর সমস্ত বায়োডাটা বের করো।"

পিন্জ কোনো কথা না বলে ব্রডির কথা অনুযায়ী বেরিয়ে পড়ল । কেননা ব্রডি পিন্জের বন্ধু হলেও তার থেকে একধাপ উপরের।

অতপর, ব্রডি সিসি ক্যামেরার সাথে থাকা ড্রাইভ টা হাতে নিয়ে অফিসে চললো ভেতরে কি আছে দেখার জন্য।  অফিসে পৌছে পিসিটা অন করল ব্রডি। অতপর, ভিডিও চালানো শুরু করলো।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সময় রাত 10:30 । ব্রডি আর মেয়েটি সোফায় বসে আছে। বেশ কিছুক্ষন তারা গল্প গুজব করলো। ওতোপর মেয়েটিকে সে ঘুমিয়ে যেতে বললো। যেটা তার এখনো মনে আছে আর ভিডিওতে ঠিক এরকমটাই দেখতে পাচ্ছে ব্রডি।  স্ক্রীনে সময় তখন 11 বেজে 45 মিনিট। ব্রডিও মোটামুটি ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে বসে আছে। বোঝা যাচ্ছে তার ঘুম পেয়েছে। একটা সময় নিজের অজান্তেই ব্রডি ঘুমিয়ে পড়ল  ।

বেশ কিছুক্ষন ধরে মনে হচ্ছে কম্পিউটারের স্ক্রীনটা থেমে রয়েছে। তবে না,সময় ঠিকি বয়ে চলেছে । স্ক্রীনে তখন মধ্যরাত 12 টার কাছাকাছি। ব্রডি আর মেয়েটিকে বলতে পারা যায় গভীর ঘুমে রয়েছে। এমন সময় পেছন থেকে এক ছায়ামূর্তী প্রবেশ করল। ভিডিওতে স্পষ্টতই এটা দেখা যাচ্ছে।

হঠাৎ করেই ব্রডির ঘাড়ের পেছনে একটা লোক উদয় হলো। আর সাথে সাথে আক্রমনাত্মক কিছু একটা করল। ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে ব্রডিকে কিছু একটা করা হয়েছে।  অতপর, ছদ্মবেশী লোকটি মেয়েটির সামনে এসে দাড়াল আর পকেট থেকে একটি ছুড়ি বের করল। যা স্ক্রীনে স্পষ্টত। দূর্ভৃগ্যবশত মেয়েটি তখন জেগে উঠে আর চিৎকার শুরূ করে। যার চিৎকারটাই পিন্জ ওয়াকিটকিতে শুনতে পেয়েছিলো।

ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মেয়েটি বাচার আপ্রান চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। বলা বাহুল্য এই প্রথম ব্রডি সরাসরি একটি সাইকো কিলারের খুন দেখল। সাইকো কিলারটি প্রথমে মেয়েটির হাত বাধল ।যাতে মেয়েটি কিছূ করতে না পারে। এদিকে ব্রডি গভীর ঘুম অর্থাৎ অজ্ঞান বলা চলে। সাইকো কিলারটি প্রথমে মেয়েটির গলাতে চিরিৎ চিরিৎ করে কাটল। লাইট জ্বালানোর কারনে তা স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে। রক্তে সোফা ভেসে গেছে। গলার রগ কাটার কারনে বলা চলে খুব তাড়াতাড়ি মেয়েটির মৃত্যু ঘটেছে।

সময় কম থাকার কারণে হয়তো গতকাল রাতে আর বেশি কিছু করেনি। ওয়্যার ড্রবের ভিতরে একটা খাম রেখে সাইকো কিলারটি দ্রুত চলে গেলো। বেশ কিছুসময় পর পিন্জ তার ফোর্স নিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করল। ভিডিওটি এই পর্যন্ত দেখেই পিসিটা অফ করল ব্রডি। তার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝড়ছে।রুমে এসি থাকলেও তার সারা শরীর ঘামে চুপচুপ করছে।মনে হচ্ছে সুইমিং পুল থেকে এই মাত্র গোসল করে আসল।

বেশ কিছুক্ষন ধরে ব্রডি স্তব্ধ খেয়ে তার চেয়ারে বসে রইল। ভেবে কোনো কুল কিনারা পাচ্ছে না সে এখন কী করবে। ব্রডি প্রথমে ভেবেছিলো! এই খুন গুলো হয়তো সে করেছে "হিউসেপ" নামক ভাইরাসের কারনে। কিন্তু, এখন বিষয়টা পরিষ্কার। এই সমস্ত খুনের পেছনে অন্য কেউ রয়েছে। আর ব্রডির প্রথম সন্দেহ ডক্টর লি  সে কী আদৌও ডক্টর লি? নাকি কোনো বহুরুপী?

ব্রডি ডক্টর লি এর  ফরেনসিক ল্যাবে সেইম ধরনে খাম পেয়েছিলো যেসব খাম সে খুন হওয়া স্থানে পেয়েছিলো। আর, সে যে ভাইরাসের কথা বলল! তা তো ব্রডির উপর সন্দেহের তীর মারার জন্য করা হচ্ছে। আর ডক্টর লি এর সাথে ব্রডির পরিচয় বেশি দিন হয়নি। তবে কী ইনি সত্যিই ব্রডিকে ধোকা দিচ্ছেন? নাকি এটা ডক্টর লি এর বাহিরে অন্য কারো কাজ! বেশকিছুক্ষন ধরে ব্রডি এসব ভাবছে। তবে কোনো কুল কিনারা পাচ্ছে নাহ। এমন সময় হঠাৎ অফিসের টেলিফোনে ক্রিং ক্রিং  একটা কল এলো । রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে!

"হ্যালো?"

চলবে

(কী মনে হয় আপনাদের এর সাথে কী ডক্টর লি জড়িত নাকি অন্য কেউ?)